আচ্ছা, কল্পনা করুন শ্রী কৃষ্ণের পারসোনাল ডায়রি আপনার হাতে চলে এসেছে। সেই ডায়রিতে কী লেখা রয়েছে দেখতে পাবেন বলে আপনার মনে হয়? গোটা দিন তুমুল যুদ্ধের পর কীভাবে নিজেদের সন্ধ্যা কাটাতেন মহারথীরা? অশ্বত্থামা নামের হাতিটিকে না মেরেও কীভাবে দ্রোণাচার্যকে অস্ত্র ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারতেন পাণ্ডবেরা? রামায়ন মহাকাব্য হিসেবে সুপারহিট হওয়ার পর কোন গাইডলাইন মেনে মহাভারত লেখায় হাত দেন বেদব্যাস? যে টিকার ব্যাবহার আজ বহুল প্রচলিত, তার মুল তত্ব কি দ্বাপরেও জানা ছিল? আর থাকলেও, কোথায় ব্যাবহার হয়েছিল? দুই মহাকাব্যের দুই নায়িকার মধ্যে যদি কিছুক্ষনের জন্য দেখা হত, সেক্ষেত্রে তারা কী বিষয়ে আলোচনা করতেন? অথবা জীবনের শেষ রাত্রে কর্ণের সঙ্গে শ্রী কৃষ্ণের দেখা হলেই বা কী আলোচনা হত দু’জনের মধ্যে? প্রথম দিন যুদ্ধের পর কী কারনে ভীম নিজের লাঞ্চ শেষ না করেই শিবিরে ফিরে এসেছিলেন যুধিষ্ঠিরের কাছে ঘ্যানঘ্যান করেছিলেন? আমাদের মহাকাব্যের কোন কোন অংশে কিছুটা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে? ভগবান বিষ্ণুর জীবন কি সত্যই ততটা সুখের যতটা বাইরে থেকে দেখে মনে হয়?
এই ধরনের কিছু প্রশ্নের উত্তর ত পাবেনই, সঙ্গে পাবেন পুরাণের কিছু চিত্তাকর্ষক কাহিনীর নতুন আঙ্গিকে সরস পরিবেশন। সঙ্গে ভাগবদগীতা এবং উপনিষদের মূল শিক্ষার ধারনাও করে ফেলতে পারবেন অল্প কথায়।
তবে সবচেয়ে বড় লাভ হচ্ছে এ বই পড়ে কিছুক্ষন হাসির জগতে হারিয়ে যেতে পারবেন। মুচকি, ফিক ফিক, বা ঠা ঠা করে অট্টহাস্য – কিছুই বাদ যাবে না। তাই ট্রেনে-বাসে-ট্রামে এ বই না পড়াই ভালো কারন আশেপাশের মানুষ আপনার আচমকা ওভাবে হেসে ওঠাকে ভালো চোখে নাও দেখতে পারেন।
এক কথায় বলতে গেলে সুকুমার রায় বা পরশুরামের দেখিয়ে যাওয়া পথ ধরে লেখক আরও বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছেন ‘শ্রী কৃষ্ণের ডায়রি’ নামক গ্রন্থে।
Srikrishner Diary || Sandip Chowdhury || Khoai
শ্রী কৃষ্ণের ডায়রি
Sandip Chowdhury
Khoai